অাজ নতুন বছরের সন্ধ্যা এবং নববর্ষের দিন খুব দ্রুত অাগমনী জানাচ্ছে। তাই নতুন বছরের দিনের জন্য আমি একটি বার্তা জানাচ্ছি। খ্রিস্টাব্দ অনুসারে, ২০১৭ সালের এই নববর্ষের দিনটি এমন একটি দিন হবে যেদিন আমরা আমাদেরকে প্রভুপাদের দান করা সমস্ত কিছু স্মরণ করতে পারি। কীভাবে গত বছরটি ছিল ৫০তম সুবর্ণ জয়ন্তী এবং কীভাবে এখন থেকে প্রতি বছর অনুরূপভাবে আমরা অন্য ৫০তম সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করতে চলেছি। আমি ১৯৬৮ সালে যোগদান করি, কেউ হয়ত ১৯৬৭ সালে যোগদান করেছে, এই বছরটি তাদের জন্য ৫০তম সুবর্ণ জয়ন্তী হবে যারা ১৯৬৭ সালে যোগ দিয়েছে। যদি আমরা এই বছরটি আমাদের আঞ্চলিক বিগ্রহ, শ্রীল প্রভুপাদ, আমাদের গুরুমহারাজের জন্য কিছু করে তাঁদের সেবায় নিয়োজিত করতে পারি সেজন্য আমাদের এই বছরে কিছু করতে চেষ্টা করা উচিত। প্রভুপাদ এই কাজটি নির্ধারণ করে দিয়েছেন যে, প্রতি বছর এটি দ্বিগুণ করা উচিত। অন্য কথায়, আমাদের কখনোই সুখী এবং আত্মসন্তুষ্ট হওয়া উচিত নয় এই ভেবে যে, আমরা সবকিছু করে ফেলেছি, আমাদের আর কিছুই করার নেই এবং আমরা যা পারি তার সর্বোত্তম চেষ্টাটুকু করেছি। তাই এই বছরে আমরা কিছু করতে চেষ্টা করি। প্রতি বছর আমাদের উচিত সর্বোত্তম চেষ্টা করা যতটুকু আমরা পারি এবং তা পরবর্তী বছরে আগের বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পাওয়া উচিত। তাই এই বছরে আমাদের নিকট সুযোগ আছে বৈদিক তারা মণ্ডলী মন্দির সম্পন্ন করার, অথবা অন্ততপক্ষে সেদিকে অগ্রসর হওয়ার, মায়াপুর ধামের উন্নয়ন করার, আঞ্চলিক মন্দিরগুলির উন্নয়ন করার, নামহট্ট, ভক্তিবৃক্ষ, যুব সম্প্রদায়ের প্রচার ও অন্যান্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধি করার। একইসাথে প্রতি বছর আমরা বৃদ্ধি করতে চাই আমাদের কৃষ্ণ প্রেম, আমাদের ভক্তি এবং আমরা চিন্তা করতে পারি কীভাবে আমরা তা করতে পারি এবং আমরা এই বছর কী করতে পারি আমাদের ভগবদ্ভক্তি বিকাশ করার জন্য? আমরা এই বছর আরও তাৎপর্যপূর্ণ কিছু করতে চাই। আত্মতুষ্ট হবেন না, এটি আমাদের নিকট একটি সুযোগ। তো আমাদের জন্য অবশ্যই গৌর পূর্ণিমা নববর্ষ। কিন্তু আমরা অন্য সকল মানুষের সাথে ২০১৭ সালের নতুন বছরের এই দিনটি উদযাপন করি এবং এই দিনটিকে আমরা ব্যবহার করতে চাই সকলকে তাদের নিজ নিজ পারমার্থিক জীবনে গভীর হতে গভীরভাবে প্রবেশ করার জন্য উৎসাহিত করার জন্য। প্রকৃতপক্ষে সকলেই চিন্ময় আত্মা, কিন্তু তারা মনে করে যে, তারা দেহ। কিন্তু দেহের মৃত্যু হবে, আমাদের মৃত্যু হবে না, আমাদের বেঁচে থাকা অব্যাহত থাকবে এবং যদি আমরা সফল হই তবে আমরা কৃষ্ণের নিকট ফিরে যেতে পারি। নয়তো আমরা জন্ম এবং পুনর্জন্মের চক্রে আবদ্ধ হয়ে থাকি। তাই আমরা যদি জন্মগ্রহণ করতে চাই, তবে আমাদের ভক্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করা উচিত যাতে আমরা ভগবদ্ভক্তির অনুশীলন করতে পারি। এভাবে প্রতি বছর আমরা একটি নব ও সমুন্নত ভগবদ্ভক্তির সূচনা করতে পারি। তাই আমি আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই কীভাবে আমরা এই বছরটিকে সর্বোত্তম বছরে পরিণত করতে পারি তা চিন্তা করার সময় দেয়ার জন্য এবং এই বছরটিকে কৃষ্ণভাবনাময় করার জন্য। হরি বোল!